বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিশ্ব নবীর আগমনে, সুরভিত পরিবেশে পুলকিত বিশ্ব আজীবন সম্মাননা পেলেন জনাব ওসমান গণি ও শফিকুর রহমান মধু মিয়া বৃষ্টির ধারায় মুছে যাক “রোজা রাখি, আল্লাহর হুকুম পালন করি, নিজে সুস্থ থাকি অপরকে সুস্থ থাকতে উৎসাহিত করি” মঙ্গলকাটা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ‘MCTC’র এক যুগ পূর্তিতে আনন্দ ভ্রমণ ফেনিবিল ও কোনাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘের অমর একুশে উদযাপন ‘আব্দুল গণি ফাউন্ডেশন’ মেধাবৃত্তি পরিক্ষা-২২ এর বৃত্তি প্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের ডলুরা বর্ডারহাটে অনিয়ম ও মাদক বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দাখিল ২০০৪ ব্যাচ এর মিলনমেলা

ধারারগাঁও সুরমা সেতু, এলাকা পরিদর্শনে এলজিইডি’র প্রকল্প পরিচালক

ধারারগাঁও সুরমা সেতু, এলাকা পরিদর্শনে এলজিইডি’র প্রকল্প পরিচালক

আকরাম উদ্দিন:
সদর উপজেলার হালুয়ারঘাট-ধারারগাঁও এলাকায় সুরমা নদীর উপর সেতু নির্মাণ স্থান পরিদর্শন করলেন এলজিইডি’র হেডকোয়ার্টার ব্রীজ ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক মো. এবাদত আলী। শনিবার বিকালে সেতু নির্মাণ স্থান পরিদর্শন করেন তিনি।

পরিদর্শনের সময় প্রকল্প পরিচালকের কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা সুরমা নদীর হালুয়ারঘাট-ধারারগাঁও এলাকায় সেতু নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন,‘হালুয়ারঘাট-ধারারগাঁও এলাকায় সুরমা নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে সদর উপজেলা, বিশ্বম্ভরপুর ও দোয়ারাবাজার উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে, এই এলাকার উৎপাদিত শাক-সবজি বাইরের জেলায় রপ্তানি করা সহজ হবে, ডলুরা এলাকায় শুল্ক স্টেশন হবে, পর্যটন এলাকার উন্নয়ন হবে, মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে এবং সরকারী রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।’ এজন্যই তারা হালুয়ারঘাট-ধারারগাঁও এলাকায় সুরমা নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন বলে প্রকল্প পরিচালককে জানান।

এলজিইডি’র ব্রীজ ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক মো. এবাদত আলী গুরুত্ব সহকারের স্থানীয়দের কথা শুনেন এবং সেতু নির্মাণ স্থান ঘুরে ঘুরে দেখেন। হালুয়ারঘাট-ধারারগাঁও সেতু নির্মাণ হলে সরকারী রাজস্ব বাড়বে এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নের স্বার্থে এই সেতু নির্মাণ জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি। সেতুর নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতির বিষয়ে গুরুত্ব প্রদানের আশ্বস দেন প্রকল্প পরিচালক মো. এবাদত আলী।

পরে ব্রীজ ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক মো. এবাদত আলী সুরমা ইউনিয়নের বালাকান্দা বাজারের নিকটে এবং অক্ষয়নগর গ্রামের পাশে চলতি নদীর উপর সেতু নির্মাণ স্থান পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন, সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুছ সাত্তার, উত্তর সুরমা উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও মঙ্গলকাটা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আব্দুর রব, সংগঠনের সদস্য সচিব সাংবাদিক আকরাম উদ্দিন, জাহাঙ্গীরনগর ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মোতালেব, সুরমা ইউপি’র সাবেক সদস্য মাজেদা বেগম, ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম, আব্দুর রহমান, আ. লীগ নেতা মো. নাজিম উদ্দিন, লিটন মিয়া, মাসুম আহমদ, নুর আমিন, ইমন আহমদ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত. বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, পহেলা মার্চ এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী, ১৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব আব্দুল মালেককে হালুয়ারঘাট-ধারারগাঁওয়ে সেতু নির্মাণের জন্য অনুরোধপত্র প্রদান করেন।

ড. মোহাম্মদ সাদিকের অনুরোধপত্রে ৬ ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত দুর্ভোগের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ৪৮ শহীদের শহীদ মিনারে যাতায়াত দুর্ভোগের মুক্তি, ডলুরায় হওয়া দুই দেশের সীমান্তহাটে যাতায়াত সুবিধা এবং ডলুরায় শুল্কবন্দর হবার যে কাজ শুরু হয়েছে, এই শুল্কবন্দরে যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহনের সুবিধার জন্য এই সেতু জরুরি উল্লেখ করেছিলেন।

ড. মোহাম্মদ সাদিক এ প্রসঙ্গে বলেন,‘সুরমার উত্তরপাড়ের সুনামগঞ্জ সদর ও দোয়ারা বাজারের কয়েক লাখ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি, ডলুরায় শুল্কস্টেশন হলে দুই দেশের পণ্য পরিবহনে এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পর্যটন সমৃদ্ধ সুনামগঞ্জ সদর দোয়ারাবাজার সীমান্ত এলাকায় যাতাযাতে পর্যটকদেরও সুবিধা হবে। এলাকার সন্তান হিসাবে আমি চেষ্টা করছি, মানুষের আকাঙ্খিত এই উন্নয়ন কাজটি বাস্তবায়ন করতে।’


আপনার এ্যাড দিন

ফটো গ্যালালি

Islamic Vedio

বিজ্ঞাপন ভিডিও এ্যাড




© All rights reserved © 2018 angina24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com